প্রতিদিন ২৪ ডেস্ক
রংপুরের শিল্প ও বাণিজ্য মেলা জনশুন্য হয়ে পড়েছে । আর এতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বিক্রেতারা। ফলে তাদের
আসল টাকা উঠা নিয়ে বড়ই চিন্তায় প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ।
গতকাল
সরেজমিনে মেলা ঘুরে দেখা গেছে মেলায় নেই তেমন
কোন দর্শনার্থী। যারা আসছেন তারা
শুধুই ঘুরছেন আর দোকানের
পন্য দেখছেন ।কিন্তু কেউ তেমন কোন পন্য কিনছেন না । অনেক মহিলা দর্শক শুধুই
দোকানগুলোতে ঢুকে শাড়ি ও সংসারের জিনিসপত্র দেখছেন ।মাঝে মাঝে দু একজন কিনলেও
তাদের সংখ্যা কম । পুরুষরা
ছোট সন্তানদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন । দোকানীরা বসে বসে সময় কাটাচ্ছে ।
দোকানী ইমতিয়াজ জানালেন, সারাদিন বসে থাকি ।দর্শনার্থীরা আসেন ,দেখেন কিন্তু কোন জিনিসপত্র কিনেন না।
প্রায় দুমাস ধরে আছি । তেমন কোন বেচাকেনা করতে পারিনি । মেলায়
স্থান পাওয়া নাগরদোলা কিছুদিন চললেও এখন বন্ধ ।কদিন আগে কুয়ার
মধ্যে মোটর সাইকেল খেলা দেখানো হয়েছিল । তাও এখন চলে গেছে ।তবে মোটর সাইকেল খেলা
চলে যাওয়ার কারন হিসেবে মেলার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা বৃষ্টিকে দায়ী করছেন।
ইতোমধ্যে মেলার উত্তর সারির ১৫-২০টি দোকান চলে গেছে । কদিন থেকে রাতে শুরু হয়েছে কাল বৈশাখী ঝড় । আর
এতে বেশি শংকিত
হয়ে পড়েছেন মেলার প্রতিষ্ঠানের মালিকরা । কেননা দিনে কোন দর্শনার্থী নেই তার উপর রাতে ঝড় । ঝড় হওয়ায়
ক্ষতির ও সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে নতুন করে এসেছে দি গ্রেট রওশন
সার্কাস। দিনভর চলছে এই সার্কাস খেলা দেখানো । কিন্তু কোন ভাবেই দর্শক পাওয়া
যাচ্ছে না ।সার্কাসের একজন কর্মচারী জানালেন , কোন ভাবেই
সার্কাস জমছে না । অল্প সংখ্যক দর্শক আসছে খেলা দেখতে ।আগে সার্কাস দেখতে আসতো
সবাই ।কিন্তু এখন আর কেউ আসে না । আমরা কদিন হলো সার্কাস শুরু করেছি । তাই মেলা না
জমলেও বাধ্য হয়ে থাকতে হচ্ছে না। দোকানীরা তাদের পন্যের পশরা সাজিয়ে বসেছেন । অনেকে আশায় বসে আছেন কখন আসবে
ক্রেতা । কখন বলবে পন্যটির দাম কত ? দর্শনার্থীরা
মেলায় ঢুকছেন কিন্তু কেউ কোন পন্য কিনছেন না বলে জানালেন ঢাকা থেকে আসা এক দোকানের
কর্মচারী । মেলা শুরু হওয়ার
এক মাস অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত
র্যাফেল ড্র না
হওয়ায় জনসাধারনের মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে । মেলার যে পরিস্থিতি তাতে কি মেলার
র্যাফেল ড্র হবে ? নাকি গত কয়েক বছর আগে জিলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত
হওয়া মেলার মতো হবে? এদিকে মেলা
না জমার কারনে প্রতিষ্ঠানের মালিকরা লোকসানের
মুখে পড়েছেন । মেলার এই
পরিস্থিতি দেখে অনেক দোকানী তাদের দোকান গুটিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । অপরদিকে কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের
মালিক ও
কর্মচারীদের দাবির মুখে সময়সীমা
বাড়িয়ে দিয়েছেন । মেলা এখনো চলবে চলতি
মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত। যে আসা নিয়ে মেলা কর্তৃপক্ষ মেলা শুরু করেছিলেন তাদের সেই
আশা এখন অনেকটাই গুড়েবালিতে পরিনত হওয়ার পর্যায়ে।
No comments:
Post a Comment