বৃহস্পতিবার সংস্থার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আইএমএফের পরিচালনা পর্ষদ প্রায় ৯৮ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলারের এই ঋণ অনুমোদন করেছে। এই ঋণের অর্থ তিন বছরের মধ্যে কয়েক ধাপে ছাড়
করা হবে, যার প্রথম কিস্তিতে বাংলাদেশ পাবে ১৪ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার।
লেনদেন ভারসাম্য নিয়ে সঙ্কটে থাকা বাংলাদেশ সরকার এক বছরের বেশি সময় ধরে আইএমএফের এই ঋণ পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে লেনদেন ভারসাম্যে বাংলাদেশের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৯৭ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার, আগের অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫৮ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএমএফ বলেছে, সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, অবস্থান সুসংহত করে আরো এগিয়ে নেওয়া এবং প্রবৃদ্ধির ধারা আরো শক্তিশালী করার কাজে সহযোগিতা দিতেই বাংলাদেশকে এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
আইএমএফের ‘প্রেসক্রিপশন’ মেনে সরকার গত এক বছরে কয়েক দফা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরও বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে সন্তুষ্ট নয় এ দাতা সংস্থা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও সারের দাম সমন্বয়ে বিলম্ব এবং আমদানি ব্যয় লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকায় আর্থিক খাত ও বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থানের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।”
পরিচালনা পর্ষদের সভার পর আইএমএফের ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্বে থাকা উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক নায়োকি শিনোহারা বলেন, “জ্বালানি তেলের দাম ও আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি সরকারের সঙ্কুলানমুখী মুদ্রা নীতির কারণে ২০১০ সালের শেষ দিক থেকে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর চাপ অনেক বেড়ে গেছে।”
এ কারণে ঋণ পাওয়ার তিন বছরে সরকারকে দেশের আর্থিক খাতে গতিশীলতা আনা, সম্পদের সংগ্রহ বাড়ানো, সামাজিক ও উন্নয়ন খাতে ব্যয় বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ঘাটতি কমিয়ে আনা, অবকাঠামো উন্নয়ন, রপ্তানিমুখী বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য চারটি খাতে সংস্কার চালাতে
No comments:
Post a Comment