প্রতিদিন ২৪ ডেস্ক
পেট্রাপোল বন্দরে ইন্টারনেট নেটওয়ারকিং
সমস্যার কারনে বুধবার দিনভর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বানিজ্য বন্ধ থাকার পর
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্বাভাবিক ভাবে আমদানি-রফতানি চলছে।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টের
সাধারন সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র জানান, পেট্রাপোল
বন্দরে বুধবার সকাল থেকে হঠাৎ
করে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যায়। এরই
প্রেক্ষিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি কোন রফতানি পণ্য বাংলাদেশে পাঠানো সম্ভব হয়নি।
ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক সমস্যা সমাধান হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পেট্রাপোল বন্দর
দিয়ে বাংলাদেশে আমদানি-রফতানি শুরু হয়েছে।
এছাড়া জালিয়াতির মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকির দায়ে
বেনাপোলের এক সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী ও তার ম্যানেজারকে ১০ বছর ও ৪ বছর কারাদন্ড দিয়েছে
আদালত। বুধবার যশোর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ম্যাজিস্ট্রেট
শেখ মফিজুর রহমান এই দন্ড প্রদান করেন। ১০ বছরের দন্ডপ্রাপ্ত হচ্ছেন, বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স চাঁদপুর ট্রেডিং এজেন্সীর
স্বত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া এবং ৪ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে ওই
প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার যশোরের শার্শা এলাকার আরশাদ আলীকে। ২০০১ সালে জালিয়াতির
মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন সোনালী ব্যাংক বেনাপোল বন্দর
শাখার ম্যানেজার ইত্তেহাদুল হক।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এপিপি আব্দুল ওহাব জানান, ২০০১ সালে মেসার্স
চাঁদপুর ট্রেডিং এজেন্সীর মাধ্যমে ভারত থেকে পণ্যের একটি চালান আমদানি করা হয়। এই
পণ্যের বিপরীতে শুল্ক নির্ধারিত হয় ৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। কিন্তু মেসার্স চাঁদপুর
ট্রেডিং এজেন্সীর স্বত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর আলম ও ম্যানেজার আরশাদ যোগসাজসে
জালিয়াতির মাধ্যমে ওই অঙ্ককে ৩৫ হাজার ৪শ’ দেখিয়ে ওই টাকার শুল্ক
সোনালী ব্যাংক বেনাপোল বন্দর শাখায় পরিশোধ করেন। পরবর্তীতে অডিটে এই জালিয়াতি ধরা
পড়লে ব্যাংক ম্যানেজার ইত্তেহাদুল হক মামলা করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত
জাহাঙ্গীর আলমকে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১০ মাসের
বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং অপর আসামি আরশাদ আলীকে ৪ বছর কারাদন্ড ও ৮ হাজার টাকা
জরিমানা অনাদায়ে আরও ৪ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।
No comments:
Post a Comment