প্রতিদিন ২৪ ডেস্ক
গ্যাস সঙ্কটে গত এক মাস ধরে
ব্রাহ্মণড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন যান্ত্রিক
সমস্যায় চলতি অর্থ বছরের গত ১০ মাসের মধ্যে প্রায় তিনমাস কারখানার উৎপাদন বন্ধ
ছিলো। এতে প্রায় ২৪৩ কোটি টাকা মূল্যমানের এক
লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া
উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এ কারণে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হলে উৎপাদন বোনাস থেকে বঞ্চিত হবে শ্রমিক- কর্মচারীরা।
কারখানার কারিগরি
বিভাগ জানায়,
কারখানার প্রসেসিং ইউনিটের
ত্রুটির কারণে গত ৯ মার্চ ভোর ছয়টায় কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়
প্রকৌশলীরা সেটি মেরামত করেন। তবে গ্যাসের চাপ কম থাকায় কারখানা চালু করা সম্ভব
হয়নি। সেই থেকে কারখানার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
সূত্রটি জানায়, চলতি অর্থবছরে বিসিআইসি
কারখানাকে চার লাখ টন সার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার নির্ধারণ করে দেয়। পরে কারখানার
যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে এবং কর্তৃপক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে উৎপাদনের
লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে তিন লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন করা হয়। গত ১০ মাসে কারখানায়
উৎপাদন হয়েছে দুই লাখ ২৮ হাজার ২৭১ টন। বাকি দুইমাসে উৎপাদন করতে হবে আরো এক লাখ
এক হাজার ২৯ টন। যা উৎপাদন করা সম্ভব নয় বলে জানান, কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা। ফলে চলতি অর্থ বছরে
উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ দিকে উৎপাদনের
লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারলে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারিরা বঞ্চিত হবে উৎপাদন
বোনাস থেকে। তাই শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবি, অবিলম্বে গ্যাস
সরবরাহ নিশ্চিত করে কারখানাটি চালু করা হোক।
এ ব্যাপারে
কারখানার সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক
ইকবাল হোসেন জানান, সরকার কোনো নোটিশ
ছাড়া গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। উৎপাদন ব্যাহত হলে শ্রমিক-কর্মচারিরা বঞ্চিত হবে।
তিনি আরো বলেন, “আমরা বিভিন্নভাবে সরকারকে
জানানোর চেষ্টা করছি গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করতে। অন্যথায় আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের
কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।”
এ ব্যাপারে জেলা
সার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল উদ্দিন জানান, কারখানা বন্ধ থাকায় ডিলারদের জমাট বাধা সার সরবরাহ
করা হচ্ছে। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছ।
তিনি আরো বলেন, “কারখানা দ্রুত চালু করা না হলে
চলতি ইরি মৌসুমে সারের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।”
এ ব্যাপারে
কারখানার মহা-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ না
পাওয়ায় গত ১০ মার্চ থেকে কারখানার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কারখানা বন্ধ থাকার ফলে
সার্বিক উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটছে। গ্যাস সরবরাহ স্বাভবিক হলেই কারখানা চালু করা হবে।”
No comments:
Post a Comment