দেশের প্রধান
পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের নিম্নমখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ
হয়েছে। সোমবার দিনের শুরুতেই গতকালের ধারাবাহিকতায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়
লেনদেন শুরু হয়। প্রথম দিকে বাড়লেও পরের দিকে এসে বৃদ্ধির
ধারায় কিছুটা ভাটা পড়ে।
সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
দিন
শেষে সাধারণ মূল্যসূচক গত দিনের চেয়ে ৪৬ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৪১৭ পয়েন্টে
দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১২০ কোটি টাকা।
তিনদিন
পর সূচক ও লেনদেন কমলেও একে মূল্য সংশোধন বলেই মনে করছেন বিনিয়োগকারী ও
বিশ্লেষকরা। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতায় লক্ষ্য
করা গেছে। এর ফলে দিনের শুরুতে যেভাবে লেনদেন বাড়ছিল পরের দিকে এসে সেই
ধারাবাহিকতা থাকেনি।
বাজারসংশ্লিষ্ট
ব্যক্তিরা বলছেন,
২০১০ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া অব্যাহত দরপতনে
বিনিয়োগকারীদের ক্রয়ক্ষমতা অনেক কমে গিয়েছিল। কয়েক দিন ধরে বাজার তুলনামূলকভাবে
তেজি থাকায় বিনিয়োগকারীদের ক্রয়ক্ষমতা কিছুটা বেড়েছে। এর ফলে ওই সব বিনিয়োগকারী
নতুন করে সক্রিয় হচ্ছেন।
এ
ছাড়া সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ২১
মে পরিচালকদের ন্যূনতম শেয়ারধারণের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। এ উপলক্ষে অনেক পরিচালক
শেয়ার কেনা অব্যাহত রেখেছেন। এ বিষয়টিও বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সোমবার
দুই লাখ ১৮ হাজার ৬২৯ হাওলায় হাতবদল হয়েছে ২০ কোটি ২৩ লাখ ৫১ হাজার ৭১১টি শেয়ার ও
ইউনিট।
লেনদেন
হওয়া ইস্যুর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৩টির, কমেছে ১৬০টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে
২২টির।
টাকার
অংকে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে- লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, গ্রামীণফোন, যমুনা ওয়েল, বেক্সিমকো, তিতাসগ্যাস, কেয়া কসমেটিকস, মেঘনা পেট্রলিয়াম, এমআই সিমেন্ট, আফতাব অটোমোবাইলস ও ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ
No comments:
Post a Comment